বছরের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি পানিতে ভরে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। বর্ষা মৌসুম আসলে তো কথাই নেই। স্কুলের খেলার মাঠ পরিণত হয় পুকুরে। এ অবস্থার জন্য বন্ধ থাকে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা। সেই সাথে থৈ থৈ করা পানি পাড়ি দিয়েই বিদ্যালয়ে আসতে হয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছর খেলার মাঠ উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ আসলেও কোনো কাজ হয় না। সব টাকা দুর্নীতিবাজদের পকেটে ঢুকে যায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে টি-আর থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৩ হাজার টাকা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
মাঠ শুকনো থাকলে যুবসমাজ খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে। ফলে মাদকের ছোবল থেকে তারা রক্ষা পায়। যত বেশি ক্রীড়াচর্চা হবে তত বেশি যুবসমাজ মাদক থেকে দূরে থাকবে। তাই মাঠটি সংস্কার করা না হলে এলাকার যুবসমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে এ আশঙ্কায় মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, ‘মাঠটি প্রতিবছরই বর্ষার সময় পানিতে ডুবে যায়। এর আগেও মাঠটি ভরাট করা হলেও তা যথেষ্ট ছিল না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ভালো করে মাটি দিয়ে মাঠটি ভরাট করা প্রয়োজন।’
সিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘স্কুল মাঠে মাটি ভরাটের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় এমপির টি-আর থেকে বরাদ্দ দেয়া ৪৩ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই টাকার কাজ হয়নি। নামমাত্র কয়েক ট্রলি বালু স্কুল মাঠে দিয়ে জাসদ নেতা জালাল সব টাকা আত্মসাৎ করেন।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় জাসদ নেতা জালালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু কাজ করেছি।’
মিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টা শুনেছি। সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হয়েছে।’
বিদ্যালয়টি পানিতে তলিয়ে গেছে জানিয়ে ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মামুন বলেন, ‘জরুরিভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুত এ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’